BCS Constitution
নাম:
এই সমিতি ‘‘বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি’’ নামে অভিহিত হইবে। ইংরেজীতে BANGLADESH CHEMICAL SOCIETY বলা হইবে।
কেন্দ্রীয় দপ্তর : বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সদর দফতর ঢাকায় অবস্থিত হইবে।
আঞ্চলিক কমিটি (Zonal Committee) : কেন্দ্রীয় অনুমোদনক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকার বাহিরে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে ৫০ বা ততোধিক সদস্য, যাহার মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন আজীবন সদস্য, থাকিলে সমিতির আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা যাইবে।
কার্য বর্ষ: ইংরেজী ১লা জানুয়ারি হইতে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে সমিতির কার্য বর্ষ বলিয়া গণ্য করা হইবে।
সমিতির উদ্দেশ্য :
- বাংলাদেশে রসায়ন চর্চা ও উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ ।
- জাতীয় সম্পদের উপর ভিত্তি করিয়া রসায়নের অনুশীলন ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠার জন্য রসায়নের প্রয়োগের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা গ্রহণ।
- উচ্চ শিক্ষায় মাতৃভাষার মাধ্যমে রসায়ন পাঠের জন্য বাস্তব কর্ম প্রণালী প্রণয়ন ।
- জনসাধারণকে রসায়নের সাথে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জনপ্রিয় বিষয়ের উপর বাংলা ভাষায় সাময়িক পত্র পত্রিকা ও বই প্রকাশ করা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে রসায়ন মেলা বা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা ।
- রাসায়নিক গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা সভা, সেমিনার প্রভৃতির আয়োজন করা।
- গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ করা ।
- বিশ্বের অন্যান্য দেশের রসায়নের উন্নতির সাথে সম্যক পরিচিতির জন্য বাংলাদেশের রসায়নবিদদের সাথে অন্যান্য দেশের রসায়নবিদদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ।
- আমন্ত্রিত হইলে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান সম্মেলনে বাংলাদেশের রসায়নবিদদের পক্ষ হইতে প্রতিনিধি প্রেরণ।
- শ্রষ্ঠ রাসায়নিক গবেষণার জন্য ‘‘বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি সম্মান পুরস্কার” প্রদান।
- রসায়ন ক্ষেত্রে উচ্চতর গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান। এ বৃত্তি ‘‘বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি গবেষণব বৃত্তি” নামে অভিহিত হইবে।
- রসায়নবিদদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ।
- বাংলাদেশের রসায়নবিদদের ডাইরেক্টরী প্রণয়ন।
- সমিতির গ্রন্থাগার স্থাপন।
- বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের জন্য একই ধরণের উদ্দেশ্যে গঠিত অন্যান্য বিজ্ঞান সমিতির সাথে সহযোগিতা প্রদান।
- রসায়ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বাংলা পরিভাষা প্রণয়ন, পরিবর্তন ও পরিবধর্নের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ।
- রসায়ন তথা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য প্রয়োজনে সরকারকে পরামর্শ প্রদান।
- IUPAC Ges FACS সদস্য হিসেবে এই দুইটি আন্তর্জাতিক রসায়ন সংস্থার কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ গ্রহণ।
- বাাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াডের আয়োজন এবং বিশ্ব রসায়ন অলিম্পিয়াডের প্রতিনিধি প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
সদস্য:
শিক্ষা ও পেশাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করিয়া তিন শ্রেণীর সদস্য হইবে। সদস্য পদ লাভের জন্য সমিতির নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করিতে হইবে। সমিতির সদস্যদের মধ্য হইতে অন্ততঃ একজনকে এই প্রস্তাব করিতে হইবে এবং অন্ততঃ একজনকে এই প্রস্তাব সমর্থন করিতে হইবে। প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী উভয়কেই সদস্য পদপ্রার্থীর সাথে অবশ্যই ব্যক্তিগত পরিচয় থাকিতে হইবে
ভিন্ন শ্রেণীর সদস্য:
সাধারণ সদস্য: রসায়ন ও সংশিষ্ট বিষয়ে(ফলিত রসায়ন/ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি/প্রাণ রসায়ন/ভেষজ রসায়ন/মৃত্তিকা রসায়ন ও কৃষি রসায়ন /পরিবেশ রসায়ন/ভৌত বিজ্ঞান/শক্তি, খাদ্য,পুষ্টি, বস্ত্র, প্রানি ও উদ্ভিদ রসায়ন/রসায়ন সম্পর্কিত অন্যন্য বিষয় এবং কেমিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিং-এ) চার বছর মেয়াদী স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী যে কেহ সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন। সহযোগী সদস্য পদ লাভের উপযুক্ত ব্যক্তিগণ, যাহারা কমপক্ষে তিন বছর রসায়ন চর্চার সাথে জড়িত আছেন তাঁহারাও সদস্য পদ লাভের যোগ্য।
সহযোগী সদস্য : বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রীধারী (রসায়ন/ফলিত রসায়ন/প্রাণ রসায়ন/ভেষজ রসায়ন/মৃত্তিকা রসায়ন ও কৃষি রসায়ন সহ রসায়ন সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়) যে কেহ সমিতির সহযোগী সদস্য হইতে পারিবেন। এছাড়া কোন পেশা ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত যে কোন ব্যক্তি যিনি সমিতির লক্ষ, উদ্দেশ্য ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য সহায়ক বলিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছে বিবেচিত হইবেন, তিনি সহযোগী সদস্য হইতে পারিবেন।
আজীবন সদস্য: সাধারণ সদস্য হওয়ার উপযুক্ত যে কোন ব্যক্তি এককালীন দশ বৎসরের চাঁদা দিলে আজীবন সদস্য হইতে পারিবেন। আজীবন সদস্য হইতে হইলেও সাধারণ সদস্যদের মত এই অধ্যায়ের ২.০ ধারা অনুসারে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করিতে হইবে। আজীবন সদস্যদের ল্যামিনেট করা পরিচয় পত্র দেওয়া হইবে।
সম্মানিত সদস্য
দেশী বা বিদেশী যে কোন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রসায়নবিদকে কিংবা রসায়নে উন্নতির জন্য যাঁ -হাদের উলে খযোগ্য অবদান রহিয়াছে এমন ব্যক্তিকে কার্যনির্বাহী পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে সম্মানিত ফেলোশীপ প্রদান করিতে পারিবে। তাঁহাদেরকে সমিতির সম্মানিত ফেলো হিসাবে আখ্যায়িত করা হইবে এবং তাঁহারা এই মর্মে সমিতির post nominal letters: FBCS (Honorary) ব্যবহার করিতে পারিবেন।
ফেলো :
সদস্য পদের যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ যাঁহারা কমপক্ষে ২০ বছর রসায়ন চর্চার সাথে জড়িত আছেন, তাঁহাদেরকে সমিতির ফেলোশীপ প্রদান করা যাইবে। তাঁহারা সমিতির post nominal letters : FBCS ব্যবহার করিতে পারিবেন।
পৃষ্টপোষক:
যে কোন ব্যক্তি সমিতির তহবিলে এককালীন ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার টাকা) প্রদান করিবেন, তিনিই সমিতির পৃষ্টপোষক বলিয়া অভিহিত হইবেন। সাধারণ সদস্যপদ লাভের যোগ্য ব্যক্তি পৃষ্টপোষক হইলে তিনি সাধারণ সদস্যের অনুরুপ অধিকার পাইবেন।
অঙ্গীকার পত্র:
সদস্য পদপ্রার্থীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত অঙ্গীকার পত্রে দস্তখত করিতে হইবে। “আমি বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ উপলব্ধি করিয়া এই সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করিতেছি। আমি এই সমিতির উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিব এবং ইহার গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিব।”
সদস্য চাঁদার হার:
কোন ব্যক্তি নুতন সদস্য হইতে চাহিলে তিনি কার্যবর্ষের যে কোন সময়ই সদস্য হউন না কেন তাঁহাকে ঐ কার্যবর্ষের জন্য নির্ধারিত সম্পুর্ণ চাঁদা পরিশোধ করিতে হইবে।
- সাধারণ সদস্য: বাংলাদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০/-(দুইশত) টাকা, বার্ষিক চাঁদা ৩০০/- (তিনশত) টাকা।
বিদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ (বিশ) মার্কিন ডলার, বার্ষিক চাঁদা ৫০ (পঞ্চাশ) মার্কিন ডলার ।
- সহযোগী সদস্য : বাংলাদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০/-(দুইশত)) টাকা, বার্ষিক চাঁদা ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা, বিদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ (বিশ) মার্কিন ডলার বার্ষিক চাঁদ ২৫ (পঁচিশ) মার্কিন ডলার ।
- আজীবন সদস্য: বাংলাদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০/-(দুইশত) টাকা, এককালীন ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকা । বিদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ (বিশ) মার্কিন ডলার এককালীন ৫০০ (পাঁচশত) মার্কিন ডলার। (সাধারণ সদস্য আজীবন সদস্য হইলে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হইবে না।)
- ফেলো : বাংলাদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০/-(দুইশত) টাকা এককালীন ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা বিদেশীঃ রেজিস্ট্রেশন ফি ২০ (বিশ) মার্কিন ডলার এককালীন ৫০০ (পাঁচশত) মার্কিন ডলার । (সাধারণ সদস্য ফেলো নির্বাচিত হইলে রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হইবে না। আজীবন সদস্য ফেলো নির্বাচিত হইলে রেজিস্ট্রেশন ফি ও চাঁদা দিতে হইবে না।)
- সম্মানিত ফেলো, চাঁদার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকিবে না।
- পৃষ্ঠপোষক- বাংলাদেশী : এককালীন ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা।, বিদেশী : এককালীন ১,০০০ (এক হাজার) মার্কিন ডলার।
সদস্যদের অধিকার:
সাধারণ সদস্য, আজীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের যোগ্য পৃষ্ঠপোষকগণ নিম্নলিখিত অধিকারসমূহ উপভোগ করিতে পারিবেন।
- সমিতির সকল সাধারণ অধিবেশনে ĺযাগদান ও ভোট প্রদান।
- কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হওয়া এবং নির্বাচিত হইলে উক্ত পরিষদের যে কোন পদে বহাল থাকা ।
- সমিতির সদস্য পদের জন্য আবেদনকারীর নাম প্রস্তাব বা সমর্থন দান।
- কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচনের জন্য নাম প্রস্তাব বা সমর্থন দান।
- কোন অধিবেশনে প্রস্তাব পেশ ও সমর্থন দান।কান অধিবেশনে প্রস্তাব পেশ ও সমর্থন দান।
- সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত নিউজ বুলেটিন বিনামূল্যে পাওয়া। সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত অন্যান্য পত্রিকাদি ৫০% হ্রাসকৃত মূল্যে পাওয়া।
- সমিতির লাইব্রেরী ব্যবহার।
- সমিতি কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলন, আলোচনাসভা, সেমিনার প্রভৃতিতে অংশ গ্রহণ এবং স্বরচিত প্রবন্ধ পাঠ ।
সম্মানিত সদস্য, পৃষ্ঠপোষক (২.৭ ধারার আওতায় যাঁরা পড়েন না) ও সহযোগী সদস্য ভোটারধিকার ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ লাভের প্রাথী হওয়া ছাড়া ২.৭ ধারায় অন্তর্ভূক্ত অন্যান্য সব সুবিধা ভোগ করিতে পারিবেন।
সদস্যের পদত্যাগ ও অপসারণ :
- যে কোন সদস্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিতভাবে পদত্যাগ পত্র পেশ করিতে পারিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদ অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিতে উক্ত পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করিতে পারিবেন। পদত্যাগকারী সদস্য পুনরায় নুতন সদস্য হওয়ার অনুরূপ পদ্ধতিতে সমিতির সদস্য হইতে পারিবেন।
- যদি কোন সদস্য বাৎসরিক দেয় চাঁদা পরবর্তী বৎসরের ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে প্রদান না করেন তবে বকেয়া পরিশোধ করার পূর্বে তিনি সমস্ত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।
- কার্যবর্ষের ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাঁদা না দিলে পরের সাধারণ অধিবেশনে ভোটাধিকার থাকিবে না এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
- কোন সদস্যের পর পর দুই বৎসরের চাঁদা বাকী থাকিলে তাহার সদস্য পদ আপনা আপনি বাতিল হইয়া যাইবে।
- সমিতির সংগঠন বিরোধী কাজের জন্য যে কোন সদস্যকে বহিস্কার করা যাইবে। এই জন্য অবশ্যই সমিতির ২০ জন সদস্যকে লিখিতভাবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের কাছে অভিযোগ আনিতে হইবে। উক্ত প্রস্তাব সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থিত সদস্যদের অধিকাংশের ভোটে অনুমোদিত হইলে সেই সদস্যকে বহিস্কার করা যাইবে।
সমিতির কাঠামো ও পরিচালনা :
সমিতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও কার্যাবলী সম্পনড়ব করার জন্য সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদ এই দুইটি পরিষদ থাকিবে।
সাধারণ পরিষদ :
- সকল সদস্য, ফেলো, আজীবন সদস্য ও ২.৭ ধারার অন্তভুক্ত পৃষ্ঠপোষক সাধারণ পরিষদের সদস্য বলিয়া পরিগণিত হইবে।
- সাধারণ পরিষদ সমিতির সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পনড়ব পরিষদ বলিয়া বিবেচিত হইবে।
- সাধারণতঃ প্রতি বৎসর একবার এই পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইবে।
সাধারণ পরিষদের কার্যাবলী :
- সাধারণ পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদকে নির্বাচন করিবে।
- সমিতির বাজেট বিবেচনা করিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট বিবেচনা করিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত সমিতির হিসাব পত্রের রিপোর্ট বিবেচনা করিবে।
- সমিতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য যে কোন কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ বা যে কোন সদস্য কর্তৃক আনীত প্রস্তাব বিবেচনা করিবে।
সমিতির সংগঠনের কোন ধারা বা উপধারার পরিবর্তন :
এর জন্য সাধারণ পরিষদের উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন লাগিবে। সংশোধনী প্রস্তাব কার্যনির্বাহী পরিষদ অথবা সাধারণ পরিষদের যে কোন সদস্য পেশ করিতে পারেন। কোন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব আনিতে চাহিলে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের অন্ততঃ ৩ মাস পূর্বে লিখিতভাবে তাহা সাধারণ সম্পাদকের নিকট জানাইতে হইবে। ঐ প্রস্তাব কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনμমে সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক অধিবেশনে পেশ করিবেন।
সাধারণ পরিষদের বিশেষ বা জরুরী অধিবেশন জরুরী :
জরুরী অধিবেশন আহবান করার জন্য কমপক্ষে সমিতির ১/৩ অংশ সদস্য সভাপতির নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিলে সভাপতির নির্দেশে ঐ আবেদনের এক মাসের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক অধিবেশন আহবান করিবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদ :
1.কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য :
কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতির পরিচালনা পরিষদ বলিয়া বিবেচিত হইবে। এই পরিষদ সকল কার্যের জন্য সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবে।
নিমড়বলিখিত সদস্যদের লইয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবেঃ
সভাপতি - ১ জন
সহ-সভাপতি- ২ জন
(সহ-সভাপতি দুই জনের মধ্যে যিনি অধিক সংখ্যক ভোট পাইবেন তিনি সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির কার্য সম্পাদন করিবেন)
কোষাধ্যক্ষ- ১ জন
সাধারণ সম্পাদক- ১ জন
যুগ্ম সম্পাদক- ২ জন
(নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদকদের একজন হইবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা হইতে। এই এলাকা হইতে নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। দুই জনই যদি মেট্রোপলিটন এলাকা হইতে নির্বাচিত হন, তাহা হইলে অধিক সংখ্যক
ভোট প্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক এ দায়িত্ব পালন করিবেন।)
সাংগঠনিক সম্পাদক- ১ জন
সদস্য (নির্বাচিত)- ৯ জন
পদাধিকার বলে (১+১=) ২ জন
(পূর্ববর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি + সাধারণ সম্পাদক)।
সকল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি
2. কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার কোরাম :
এক-তৃতীয়াংশ নির্বাচিত সদস্যদের উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার কোরাম হইবে। কোরামের অভাবে কার্য নির্বাহি পরিষদের কোন সভা স্থগিত হইলে পুনরায় সভাটি আহবান করা হইলে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
3.কার্যনির্বাহী পরিষদের কার্যাবলী :
- কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতির প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা করিবে। এই পরিষদ সমিতির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবে।
- সমিতির কোন নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে এই পরিষদ সাধারণ পরিষদের নিকট প্রস্তাব পেশ করিবে।
- কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক প্রণীত পরবর্তী বৎসরের আগাম বাজেট বিবেচনা করিয়া সাধারণ পরিষদের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে।
- সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট বিবেচনা করিবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ সাধারণ পরিষদের সভায় পেশ করিবে।
- পরবর্তী বার্ষিক সম্মেলনের সময় ও স্থান নির্ণয় করিয়া সাধারণ পরিষদের অনুমোদনের জন্য পেশ করিবে।।
- সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ বা সমিতির অন্য যে কোন উপ- পরিষদের কোন সদস্যের পদ আকম্মিক ভাবে শূন্য হইলে সেই পদে নুতন সদস্য মনোনয়ন করিবে।
- এই পরিষদ সমিতির পক্ষ হইতে সমিতির জন্য যে কোন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি μয় বা ভাড়া করিতে পারিবে।ানয়ন করিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ বার্ষিক অধিবেশন ও সমিতির অন্যান্য অনুমোদিত সভার বন্দোব¯ Í করিবে এবং এই সব সভার আলোচ্যসূচী (agenda) স্থির করিবে ও বিগত সভার কার্যবিবরণ (proceedings) তৈরী করিবে।
- সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত বাজেট অনুসারে সমিতির সকল খরচ পরিচালনা করিবে। তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদের তিন-চর্তুাংশ সদস্যের সম্মতিμমে বাজেটের উর্দ্ধে অনুমোদিত বাজেটের শতকরা ১০ ভাগ পর্যন্ত খরচ করিতে পারিবে। তবে এই বাড়তি খরচের কথা পরবর্তী সাধারণ পরিষদের অবগতির জন্য পেশ করিতে হইবে
- কার্যনির্বাহী পরিষদ বাজেটের অর্থ এক খাত হইতে অন্য খাতে এবং প্রয়োজনবোধে কোন নুতন খাতে ব্যয় করিতে পারিবে।
- বাজেট অনুমোদনের পর সরকার কিংবা অন্য কোন সংস্থা হইতে যদি কোন বিশেষ সাহায্য পাওয়া যায় তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ যে উদ্দেশ্যে সাহায্য দেওয়া হইয়াছে তাহা বাস্তবায়নের জন্য ঐ অর্থ ব্যয় করিতে পারিবে।
- এই পরিষদ সমিতির হিসাব নিকাশ পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা সম্পনড়ব অডিটর নিয়োগ করিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতির জন্য প্রয়োজনবোধে কোন বেতনভুক্ত কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাহাদের কাজের শর্তাবলী প্রণয়ন করিতে পারিবে। সমিতির স্বার্থবিরোধী কাজের জন্য উক্ত কর্মচারীর সাময়িকভাবে অপসারণ করার অধিকারও এই পরিষদের থাকিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতির বিভিনড়ব আঞ্চলিক কমিটির অনুমোদন প্রদান করিবে এবং তাহাদের সাথে যাগাযোগ রক্ষা করিবে।
- বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির আদর্শ ও উদ্দেশ্যের সাথে পূর্ণ বা আংশিক সাদৃশ্য আছে এমন সব দেশী ও বিদেশী বিজ্ঞান সংস্থার সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও যোগাযোগ রক্ষা করিতে পারিবে।
4.কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা :
প্রতি বৎসর কমপক্ষে দুইবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
5.কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা :
কার্যনির্বাহী পরিষদের পাঁচ বা ততোধিক সদস্যের লিখিত আবেদনে সভাপতির নির্দেশে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী অধিবেশন আহবান করিবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব:
সভাপতি :
- সভাপতি সাধারণতঃ সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
- তিনি নির্বাচনী কমিশনের সভা ছাড়া সমিতির সকল উপ-পরিষদের সভায় উপস্থিত থাকিতে পারিবেন।
- তিনি সমিতির সাধারণ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডাকার জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিবেন।
- জরুরী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। তবে উক্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।
সহ-সভাপতি :
- সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতিদের একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।
- ২) সভাপতির কার্যবর্ষ শেষ হওয়ার পূর্বে কোন কারণবশতঃ সভাপতির পদ শূন্য হইলে তবে কার্যনির্বাহী পরিষদ সহ-সভাপতিদের একজনকে সভাপতির মনোনীত করিবেন।
কোষাধ্যক্ষ :
- কোষাধ্যক্ষ সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখিবেন। এই জন্য তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রক্ষনাবেক্ষণ করিবেন।
- তিনি ও সাধারণ সম্পাদক যুগ্মভাবে সমিতির ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করিবেন।
- তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করিয়া পরবর্তী বৎসরের বাজেট প্রণয়ন করিবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনের পর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পেশ করিবেন।
- সাধারণ পরিষদের অনুমোদিত বাজেট অনুসারে তিনি সাধারণ সম্পাদকের সহযোগিতায় সকল প্রকার খরচের অর্থ প্রদান করিবেন।
- কার্যবর্ষ শেষ হওয়ার পর সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রস্তুত করিবেন। হিসাব পরীক্ষকের রিপোর্টসহ হিসাবনামা তিনি সাধারণ পরিষদে পেশ করিবেন।
- তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্দেশে সমিতির জমা অর্থ আংশিক বা পূর্ণভাবে বিনিয়োগ করিতে পারিবেন। বিনিয়োগের শর্ত সবসময়ই সমিতির জন্য সুবিধাজনক হইতে হইবে।
- প্রয়োজন হইলে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্দেশে তিনি ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হইতে সমিতির জন্য সুবিধাজনক শর্তে ঋন গ্রহণ করিতে পারিবেন। ইহা পরবর্তী সাধারণ পরিষদের সভায় অবগতির জন্য পেশ করিতে হইবে।
সাধারণ সম্পাদক :
- সাধারণ সম্পাদক সমিতির প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে সভাপতির নির্দেশ ও তত্বাবিধানে সমস্ত কার্য পরিচালনা করিবেন।
- সভাপতির নির্দেশ তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করিবেন।
- তিনি সমিতির সমস্ত যোগাযোগ ও পত্রালাপের দায়িত্ব বহন করিবেন।
- সাধারণ পরিষদের ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল নির্দেশ তিনি কার্যে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
- তিনি সকল সভা/অধিবেশনের কার্যাবলীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবেন।
- তিনি সমিতির বেতনভুক্ত কর্মচারীদের কার্য তত্বাবিধান করিবেন এবং আইন অনুসারে তাহাদের ছুটি মঞ্জুর করিবেন।
- সাধারণ সম্পাদক সমিতির সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তত্বধান করিবেন। তিনি উহাদের একটি ষ্টক রেজিষ্টার তৈয়ার করিবেন।
- তিনি সমিতির কার্যাবলীর রিপোর্ট প্রণয়ন করিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনের পর সমিতির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে তাহা পেশ করিবেন।
- দৈনিক খরচাদি মিটানোর জন্য তাহার নিকট অগ্রিম ২,০০০/- (দুই হাজার টাকা) থাকিতে পারিবে।
যুগ্ম সম্পাদক :
- যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদককে সকল কার্য সম্পাদনে সাহায্য করিবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের দেয় কার্য সম্পাদনের জন্য দায়ী থাকিবেন।
- সমিতির প্রচারের কার্যাবলীর দায়িত্ব পালন করিবেন।
- সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
- কার্যরত সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই কোন কারণ বশতঃ উক্ত পদ খালি হইলে যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক :
- সমিতির সাংগঠনিক ও বিভিনড়ব সমাজ কল্যাণমূলক কার্যাবলীর দায়িত্ব পালন করিবেন।
- সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য :
- কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন অধিবেশনে সদস্যগণ প্রস্তাব পেশ ও সমর্থন করিতে পারিবেন।
- অন্যান্যদের মতই সকল বিষয়ে তাহাদের ভোটাধিকার থাকিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্তৃক দেয় সকল কার্য পরিচালনা করিবেন।
নির্বাচন :
কার্যানির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একাধিক্রমে দুই বারের বেশী স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারিবেন না। তবে তাঁহারা যদি দ্বিতীয় টার্মে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করেন অথবা নির্বাচিত না হন তাহা হইলে পদাধিকার বলে উক্ত টার্মের কার্যানির্বাহী পরিষদের সদস্য হইবেন অথবা তাঁহারা যদি পর পর দুই টার্মের জন্য নির্বাচিত হন তাহা হইলে তৃতীয় টার্মে তাঁহারা পদাধিকার বলে পরিষদের সদস্য হইবেন।
কার্যানির্বাহী পরিষদ যথাযথভাবে হাল নাগাদ ভোটার তালিকা প্রস্তত করিবে। প্রয়োজনে প্রিন্ট/ ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বা অন্যভাবে নোটিশ দিয়া ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করার বিষয়টি সদস্যদের জানাইয়া দিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ দুই বৎসর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন। বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ কার্যকার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা অনধিক ৩ (তিন) মাস কার্যভার চালাইয়া যাইবেন।
- দুই বৎসর পর পর গোপন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ ন্যুনতম তিন সদস্য ও অনুর্ধ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী কমিশন গঠন করিবে। এই সদস্যদের একজনকে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করিবে। এই কমিশনের সদস্যগণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না। তাহারা নির্বাচনী প্রচারনায়ও অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন না। তবে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।
- নির্বাচনের ন্যুনতম ৭০ (সত্তর) দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের তারিখ, সময় ও ভোট গণনার স্থান ঘোষণা করিবেন এবং মনোনয়নপত্র আহবান করিবেন।
- মনোনয়নপত্র আহবানের ২০ (কুড়ি) দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সদস্যকে নির্বাচন কমিশনারের নিকট মনোনয়নপত্র পৌঁছাইতে হইবে। মনোনয়পত্রে পদের নাম, প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসাবে দুইজন সদস্যের দস্তখত এবং পদপ্রার্থীর সম্মতি সূচক দস্তখত থাকিতে হইবে।
- নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা (পদানুযায়ী) নির্বাচনের ন্যুনতম ৪৫ (পঁয়তালি- শ) দিন পূর্বে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থীদের নিকট প্রেরণ করিবে।
- কোন প্রার্থী তাঁহার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করিতে চাহিলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখিত ভাবে নির্বাচন কমিশনারের নিকট জানাইবেন।
- নির্বাচনের ন্যুনতম ১৫ (পনর) দিন পূর্বে প্রার্থীদের ব্যালট-পত্র নির্বাচন কমিশন ভোটারদের নিকট সার্টিফাইড পোস্টের মাধ্যমে প্রেরণ করিবেন। কোন পদে মাত্র একজন প্রার্থী কিংবা পদের সমান সংখ্যক প্রার্থী থাকিলে তাঁহাকে/ তাঁহাদিগকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হইবে।
- নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নামের আদ্যাক্ষরের বর্ণক্রমানুসারে (সমপদের) ব্যালটপত্র প্রস্তুত করিবেন।
- নির্বাচন কমিটি কর্তৃক ঘোষিত সময়ের মধ্যে ডাকযোগে/হাতে (সিলযুক্ত) খামে ব্যালটপত্র উপপরিষদের আহŸায়কের নিকট পৌঁছাইতে হইবে।
- নির্বাচন কমিশন পূর্বঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গণনা শুরু করিয়া নির্বাচনের ফল প্রস্তুত করিবে।ভোট গণনার সময় প্রার্থীরা উপস্থিত থাকিতে পারিবেন অথবা তাহাদের মনোনীত প্রতিনিধি রাখিতে পারিবেন।
- কোন পদে সমান সংখ্যক ভোট হইলে লটারীর সাহায্যে ইহার নিস্পত্তি করিতে হইবে।
- নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত সদস্যদের নাম সমিতির বার্ষিক কার্যকরী সভায় (Business Meeting)/কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ঘোষণা করিবেন।
সম্পাদনা বোড :
রসায়ন সমিতির পত্রিকাসমূহ সম্পাদনের জন্য নিম্নোক্ত উপ-পরিষদ থাকিবে।
- বাংলাদেশ জার্নাল অফ দি কেমিক্যাল সোসাইটি (Bangladesh Journal of the Chemical Society):বাংলাদেশ জার্নাল অফ দি কেমিক্যাল সোসাইটির জন্য একজন প্রধান সম্পাদক এবং একজন নির্বাহী সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত হইবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের সংগে পরামর্শক্রমে সম্পাদনা বোর্ড গঠন করিবেন।
- নিউজ বুলেটিন (News Bulletin), রসায়ন এবং অন্যান্য পত্রিকা : নিউজ বুলেটিন, রসায়ন এবং অন্যান্য পত্রিকা সম্পাদনার জন্য পৃথক পৃথক সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনীত হইবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি সম্পাদকের সংগে পরামর্শক্রমে এই সব পত্রিকার সম্পাদনা বোর্ড গঠন করিবেন।
সমিতির সভাসমূহ :
- প্রতি কার্যবর্ষে সাধারণতঃ একবার সাধারণ পরিষদের ও দুইবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
- একশত জন সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ পরিষদের কোরাম হইবে। কোরামের অভাবে একবার সভা স্থগিত করা হইলে পুনরায় সভা আহবান করা হইলে কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
- সভার অধিবেশনের অন্ততঃ দশদিন পূর্বে সাধারণ সম্পাদক প্রতি সদস্যকে পত্রযোগে আমন্ত্রণ জানাইবেন।
- কোন সদস্য উক্ত সভার/অধিবেশনের আমন্ত্রণপত্র সময় মত না পাইলে কিংবা আদৌ না পাইলে সভার/অধিবেশনের কার্যাবলী বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে না।
- যে কোন অধিবেশনে ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে। যদি কোন প্রস্তাবের উভয় পক্ষে সমান ভোট পড়ে তবে সভার সভাপতির নির্ধারণী ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে।
- পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকিলে সাধারণতঃ হাত উঠাইয়া সদস্যগণ ভোট প্রদান করিবেন। ভোট গণনার ক্ষেত্রে সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
- যে কোন সভায় কোন সদস্য কর্তৃক প্রস্তাব উত্থাপন করিলে ইহা অবশ্যই অন্য একজন সদস্য দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে। সমর্থনের অভাবে যে কোন প্রস্তাব আপনা আপনি বাতিল হইয়া যাইবে।
- ৩.৪ ধারা অনুসারে সাধারণ পরিষদের জরুরী/বিশেষ অধিবেশন এবং ৩.৫(ঙ) ধারা অনুসারে কার্যনির্বাহী পরিষদ জরুরী/বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
আঞ্চলিক কমিটি :
- ১.৩ ধারা অনুসারে সমিতির আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হইবে।
- আঞ্চলিক কমিটির গঠন সাধারণ ভাবে নিম্পনরুপ হইবে ঃ সভাপতি ১ জন,সহ-সভাপতি ১ জন, সাধারণ সম্পাদক ১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১ জন, কোষাধ্যক্ষ ১ জন, প্রচার সম্পাদক ১ জন, সদস্য ৩ জন =মোট ৯ জন
- সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মত আঞ্চলিক কমিটিও দুই বৎসর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবে। এই নির্বাচন অঞ্চলের সদস্যদের সাধারণ অধিবেশনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হইবে।
- প্রতি কার্যবর্ষে কমপক্ষে একবার অঞ্চলের সাধারণ অধিবেশন ও দুইবার আঞ্চলিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
- আঞ্চলিক কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে সমিতির লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করিবে। প্রয়োজনবোধে অঞ্চলের সদস্যদের সাধারণ অধিবেশনে আঞ্চলিক কমিটির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ইহার কার্যবিধিতে, সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী নয় এমন উপধারা সংযোজন করা যাইবে।
- আঞ্চলিক কমিটি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে অঞ্চলের সদস্যদের বার্ষিক চাঁদার এক-তৃতীয়াংশ নিজস্ব খরচ বহন করিবার জন্য রাখিতে পারিবে। বিশেষ প্রয়োজনে সমিতির নিকট হইতেও সাহায্য পাইবে।
- আঞ্চলিক কমিটি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে সকল বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করিবে।
লাইব্রেরী :
- সমিতির লাইব্রেরী ‘‘মোকাররম হোসেন খোন্দকার (Mukarram Hussain Khundker) লাইব্রেরী’’ নামে পরিচিত হইবে।
- লাইব্রেরীতে পাঠকক্ষে পড়ার এবং ধারে নেওয়ার জন্য পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তক পাওয়া যাইবে।
- একজন বেতনভুক্ত লাইব্রেরীয়ান এই লাইব্রেরীর রক্ষনাবেক্ষণের জন্য দায়ী থাকিবে।
- কার্যনির্বাহী পরিষদ লাইব্রেরীর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য দায়ী থাকিবে।
- সমিতি কর্তৃক খরিদকৃত কিংবা শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ প্রাপ্ত বইপত্র সমিতির লাইব্রেরীর সম্পত্তি হইবে।
- কেবল মাত্র রসায়ন সমিতির সদস্যগণ লাইব্রেরীর বই ধারে নিতে পারিবেন।
- ধারে বই কিংবা পত্রিকা নিলে এবং উহা হারাইয়া গেলে অথবা নষ্ট হইলে সমপরিমান মূল্য প্রদান করিতে সদস্য বাধ্য থাকিবেন।
- কোন পত্রিকার চলতি সংখ্যা ধারে দেওয়া যাইবে না। পরবর্তী সংখ্যা প্রাপ্তির পরই কেবল মাত্র উক্ত সংখ্যা দেওয়া যাইবে।
- কোন সদস্য পত্র-পত্রিকা ও বই দুই সপ্তাহের বেশী রাখিতে পারিবেন না।
- এক সাথে দুইটির বেশী বই কিংবা পত্রিকা দেওয়া হইবে না।